প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ , ১২:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা দিতে স্টারলিংকের লাইসেন্সের জন্য সবুজসংকেত দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সেটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে। টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী, কাউকে লাইসেন্স দেওয়ার আগে বিটিআরসিকে মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিতে হবে।
জানা গেছে, “বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটরদের জন্য নির্দেশিকা” অনুযায়ী নিয়ন্ত্রক কাঠামোর অধীনে বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহের জন্য গত ৭ এপ্রিল স্টারলিংক বিটিআরসির কাছে আবেদন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৯০ দিনের মধ্যে দেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবার বাণিজ্যিক উদ্বোধন করা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
কর্মকর্তারা জানান, বিদেশি স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে ব্যবহার করে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে স্টারলিংকের পরিষেবা চালানো হয়েছে।
তবে, বাণিজ্যিকভাবে স্টারলিংকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোম্পানিটিকে নন-জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অরবিট (এনজিএসও) নীতি মেনে চলতে হবে। এই নীতিমালায় স্থানীয় ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে বা আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ব্যবহার করতে হয়।
ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হলো স্টারলিংক। কোম্পানিটি বাংলাদেশে পরিষেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাইসেন্স পেতে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে।
স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা বাংলাদেশে চালু করার লক্ষ্য হলো বারবার ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়াকে রোধ করা।
দেশে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য বাজারে স্টারলিংকের প্রবেশকে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও উদ্যোক্তাদের জন্য এটি উপকারী হবে।
বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো এরইমধ্যে স্টারলিংকের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনে সহযোগিতা করছে, যা স্যাটেলাইট সংযোগকে একীভূত করতে সহজতর করবে।
বিশ্বব্যাপী, ইলন মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট জগতে একটি বড় নাম, যা দিন দিন আরও বেশি সম্প্রসারিত হচ্ছে।
অ্যামাজনের প্রজেক্ট কুইপার, ওয়ানওয়েব এবং টেলিস্যাটের মতো কোম্পানিগুলোও লো-আর্থ-অরবিট স্যাটেলাইটগুলোর কনস্টেলেশন স্থাপন করছে, যা বিশেষত দূর্গম এবং অল্প সেবা প্রাপ্ত এলাকাগুলোতে উচ্চ-গতির ব্রডব্যান্ড সেবা দেবে।
স্টারলিংক বর্তমানে ৬ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট চালাচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে তিন মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারীকে সেবা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এমন এলাকায় বড় পরিবর্তন আনতে পারে, যেখানে সাধারণ ফাইবার-অপটিক বা মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা পাওয়া যায় না বা কাজ করে না